মঙ্গলবার, মার্চ ২, ২০২১
রাইডার্সপেন
  • প্রথমপাতা
  • গ্যারেজ
    • মেকানিক টুকিটাকি
    • সাইকেল শপ
    • সাইকেল রিভিউ
    • সাইকেল গুরু
  • লাউঞ্জ
    • পাঠকের গল্প
    • সাইকেল চিরকুট
    • সাইকেল কমিউনিটি
  • বাইকট্যুরিং
    • বাইকট্যুরিং বাংলাদেশ
    • বাইকট্যুরিং আন্তর্জাতিক
    • ট্যুর রুটপ্ল্যান
    • ক্রসকান্ট্রি বাংলাদেশ
    • ক্রসকান্ট্রি আন্তর্জাতিক
  • স্পোর্টস
    • সাইকেল রেস
    • ষ্ট্যান্ট
    • সাইক্লিং বিচিত্রা
  • প্রিয় সাইক্লিষ্ট
  • আমরা
No Result
View All Result
আপনিও লিখুন
  • প্রথমপাতা
  • গ্যারেজ
    • মেকানিক টুকিটাকি
    • সাইকেল শপ
    • সাইকেল রিভিউ
    • সাইকেল গুরু
  • লাউঞ্জ
    • পাঠকের গল্প
    • সাইকেল চিরকুট
    • সাইকেল কমিউনিটি
  • বাইকট্যুরিং
    • বাইকট্যুরিং বাংলাদেশ
    • বাইকট্যুরিং আন্তর্জাতিক
    • ট্যুর রুটপ্ল্যান
    • ক্রসকান্ট্রি বাংলাদেশ
    • ক্রসকান্ট্রি আন্তর্জাতিক
  • স্পোর্টস
    • সাইকেল রেস
    • ষ্ট্যান্ট
    • সাইক্লিং বিচিত্রা
  • প্রিয় সাইক্লিষ্ট
  • আমরা
No Result
View All Result
রাইডার্সপেন
No Result
View All Result
Home পাঠকের গল্প

ক্ষুদ্র একজন ভ্রমণবালকের দুর্দান্ত রাইডের গল্প

রাইডার্সপেন সম্পাদক by রাইডার্সপেন সম্পাদক
জুন ৯, ২০১৬
in পাঠকের গল্প
0
0
SHARES
3
VIEWS
ShareTweetSend

একদমই সাধারন হয় সব কাহিনী বা গল্প আমার মত ক্ষুদ্র একজন ভ্রমণবালকের! রাইডার্সপেন এর জন্য লিখতে বসলাম। যদিও ওতটা ঘুরা হয় না তবুও গল্পের দাবি ছিল! কিন্তু সব সাধারন গল্পের অসাধারণ হয় প্রতিটা চরিত্র। গল্পটা বলার চেয়ে বাস্তবে উপভোগ্য ছিল বেশি যদিও আমি খুব অল্পেই খুশি হবার মানুষ। আমাদের গল্পের প্রতিটা চরিত্র ভিন্ন কিন্তু উদ্দেশ্য ছিল একদমই অভিন্ন। গল্পের শুরুটা (আমার জন্য) হয়েছিল আরও এক বছর আগের। পারিনাই, পথ নাই, সঙ্গীর বদল হয়েছে মাত্র! যাই হোক এত কথা বললে পোস্ট তার মর্যাদা হারাবে। গল্প ছিল দেশের সর্বোচ্চ সড়কে আমার পছন্দের বাহনে আরোহণ করার।

গল্পের আমি বাদে সবগুলো চরিত্রই ছিল দুর্দান্ত আর অসাধারণ। সঙ্গী হিসেবে আমাকে তাদের সাথে নিয়েছেন এই মানুষগুলিঃ নাইম ভাই ওরফে আয়রন ম্যান, তানভীর ওরফে ভুরদা (বিঃদ্রঃ মহান এই ব্যাক্তির নামে মিছিলও হয় রাইডে), হাসান ভাই ওরফে বলা নিষেধ আছে মানে এখানে বলা যাবে না :P, আর প্রভাত ভাই দ্যা পিতল ম্যান আর সব থেকে ইন্টারেস্টিং পার্টটা ছিল তন্ময় ভাই ওরফে জিনি (আমাদের মধ্যে এই ব্যাক্তিরই সাহস হয়েছিল এই সড়কে সে রোড বাইক নিয়ে চালিয়ে যাবেন) খুব বেশি আনন্দের সফর ছিল না, অনেক অনেক অনেক দুর্গম পাহাড়ি পথের উঁচু নিচু আঁকাবাঁকা, ঢালু-খাড়া পথ পাড়ি দিতে হয়েছিল! কিন্তু জানেন যতটা ক্লান্ত পাহাড় আমাদের করতে পারেনি তা করেছে আড্ডা হাঁসি ঠাট্টা, দুই কিলো উঠতে ১০০ ক্যালরি খরচ হলেও যত কষ্ট হয়নি একেকজনের কথায় হেসে তার চেয়ে কয়েকগুন বেশি ক্যালরি গেছে তাতে কোন সন্দেহ নাই! ২১ তারিখ রাতে আমাদের বাস! যাত্রা হবে বান্দরবান পর্যন্ত!

সাহায্যের হাত বাড়াতে সঙ্গীর কম ছিল না সেই নারায়ণগঞ্জ থেকে সায়মন ভাই আর মুসা ভাই এসেছিল আমাদের বিদায় দিতে। আমাদের সাইকেল দেখে প্রথমে বাসের হেল্পার তো সেই ক্যাচাল করা শুরু করল, বলল কিভাবে নিবেন বাসে এগুলা! না যাইতে পারবেন না আজকে, কিন্তু আমরা ঠায় যাবই। সবাই সবার সাইকেলের চাকা খুলে বলল হইছে নে তোর ডিক্কি খোল! বাসে উঠে সায়মন ভাই আর মুসা ভাইকে বিদায় দিয়ে ঘুম পর্ব শুরু মানে যাত্রা শুরু। জ্যাম ঠেলে ঢাকা থেকে বের হতে অনেক সময় চলে যাওয়ায় আমাদের ঘুমের অনেকটা ব্যাঘাত হল! যাই হোক রাতে ড্রাইভার মামা খায়া না খায়া চালায় আমাদের বান্দরবান শহরে নামায় দিল তখন বাজে সকাল ৮ টা প্রায়। গুছগাছ করে নাস্তা সেরে বের হলাম আমরা।। আজ যেতে হবে থানচি। এখানেও আমাদের সৌভাগ্য ছিল বিদায় দিতে আসলেন স্বনামধন্য আর সবার প্রিয় শান ভাই না চিনলে মুরি খাওয়াটাও ব্যর্থ! রাইড শুরু সেলফি তুলে। ভুলটা হল অনেক সময় ক্ষেপণ করে দিলাম আজকের যাত্রার জন্য প্যাডেলিং শুরু সকাল বাজে ১০ টা! বেশ জোরে শোরে শা শা করে জোশে আগাচ্চি আমরা শুরু থেকেই আমি পিছে।

যদিও এই পথ টুকু গল্পের শুরুতেই বলেছি আমার জন্য ছিল এক বছর আগের মানে এইটুকু পথ আমার দেখা। পিছে থাকার কারণ এইটা না অবশ্য আগের মত শুকনো(পড়েন হুকনা) নাই সাথে যোগ হয়েছে ইয়া বিশাল একটা ভুঁড়ি গত সাত মাসের একটা লম্বা গ্যাপের কারণে। কিছুদূর এগোতেই বুঝলাম এক বছরের ব্যবধানে রাস্তা অনেকটাই কঠিন হয়ে গেসে আমার জন্যে। বাকি সবাই সানন্দে তালেতাল মিলিয়ে এগুচ্ছে আমি বেচারা তাদের পিছে পিছে। একটু পরেই চিম্বুকের শুরু। আমরা এগিয়ে যাছি দুই পাশে পাহাড়ের মাঝে সরু আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ। যদিও আপহিলে ওঠা বেশ সুখকর নয় তবুও যেতে হবে আর একটু পরপরই একটা করে টুরিস্ট বোঝাই চাঁদের গাড়ি আমাদের ওভারটেক করে যাচ্ছে আর আমরা যাচ্ছি সেই পথ সাইকেলে তা দেখে আমাদের উৎসাহিত করে হাতে তালি দেয়, কেউ বুড়া(!) আঙ্গুল দেখায়।

একটু ক্লান্তি আর পায়ে টান পরলেই এই লোকগুলির তাড়নায় আমাদের বিরতি নেই। রোড বাইকে থাকা তন্ময় ভাইয়ের জন্য শুরুতেই অনেক কষ্ট কারণ হিলে উঠতে ছোট চেইন রিং মানে লোয়েস্ট পসিবল গিয়ারে চালিয়ে ওঠা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। যেতে হবে ৭৮ কিলো। তাই সবার মত জোশ না বরং ধৈর্য ধরে আগাচ্ছি আমি সবার পিছে থেকে। তবুও মনে হচ্ছে যেন ১/১ গিয়ারেও কোথাও একটু সমস্যা যেকোন ভাবেই স্পীড তুলা কষ্ট হচ্ছিল। ক্রাঙ্কের সাথে চেইনের ক্রমান্বয়ে ঘর্ষণের ফলে কিট কিট একটা শব্দ যোগ হল সঙ্গী হিসেবে। মোটেই মন্দ লাগছিলো না। চারপাশের নিস্তব্দতা উপভোগ করার একমাত্র ভরশা ছিল ঐটুকুই। দুপুর গড়িয়ে গেল ওয়াই-জাঙ্কশন পর্যন্ত যেতেই। ভারী শরীর তার উপর কাঁধের ৩/৪ কেজি ওজনসমেত ব্যাগ, মনে হচ্ছিল কেউ হয়ত পিছনে টানছে আর গায়ের না মনের জোরে আমরা আগাচ্চি।

পিক-৬৯ (আগের সর্বোচ্চ সড়ক, আলিকদম-থানচি সড়কের পূর্বে) এর কাছাকাছি আমরা, একটু পড়েই ৬৯০ মিটারের উঁচুতে উঠে যাব বাহ খুব মজা, মজায় বাদ সাধল সাধের চেইনটা শিফটই হল না নেমে যেতে হল আর এমনেও অনেক কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু এখানে একটা মজার ঘটনা ছিল, আমি নেমে পিছনে তাকায় দেখি তন্ময় বাহি আর নাইম ভাইও হেঁটে আসতেছে। প্রথমে বিশ্বাস হল না, ফের তাকিয়ে দেখি আমাদের আয়রন ম্যান নাইম ভাইও হেঁটে উঠছে। পরে বুঝলাম যে না বয়স হইছে আমাদের 😛 আসলে পেটে ক্ষুধা ছিল সবার গতকালের বাস জার্নির পড়েই এমন রাইড সবাই আগে থেকেই ক্লান্ত ছিল।এর মধ্যে একটা ঘটনা ঘটে, একটি চাঁদের গাড়িতে অতিরিক্ত মানুষ আর অদক্ষ চালকের কারণে মারাত্মক ভাবে এক্সিডেন্ট করে রাস্তায় মোড় নিতে গিয়ে। এক পরিবারের সবাই ছিল গাড়িটায়।

আমরা ওনাদের দেখে মানসিক ভাবে একটু দুশ্চিন্তায় ভুগছিলাম আল্লাহ না করুক। খারাপ লাগার কারণ ছিল আরও বেশি যে অনেকেই সেখানে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত, একজনের পা ভেঙে গেছে, একজনের মাথা দিয়ে অনবরত রক্ত ঝরছে, কিন্তু আল্লাহ রক্ষা করেছেন ছোট্ট একটা শিশুকে আল্লাহর রহমতে বেবিটার কিছুই হয় নি। আমরা আমাদের খাবার পানি দিয়ে ওনাদের আহত কয়েকজনকে অন্য একটা গাড়িতে তুলে এগিয়ে চললাম। সাবধানবাণী হিসেবে বলব, ভ্রমণ আনন্দ উপভোগ করতে যেয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত এই সব দুর্ঘটনা এড়িয়ে যেতে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করবেন সবাই। যাই হোক পিক-৬৯ এ উঠে সবাই লেটিয়ে পড়লাম মাটিতে সবাই। নাইম ভাই বলল, ” খাওনের দোকান নাজিল কর কেউ”। :v পেটে অতি ক্ষুধা থাকলে যা হয় আর কি। এর পরে নামাজ বিরতি আর সামনের পাড়ায় নাস্তা সেরে আবার দৌড়। অনেকটা উপরে আমরা মোটামটি যেখানে দাড়িয়ে মনে মেঘগুলো আমাদের উপর নয় আমরা মেঘের উপর।

অপার সেই পাহাড়ি রাস্তার মুগ্ধতা ছেয়ে এক অন্যরকম অনুভুতি মনে হলে শিউরে ওঠে শরীর। একটুপরেই নীলগিরি। দুপুরের রোদটুকু একটু শিথিল হচ্ছে। অত বেশি কষ্ট হচ্ছে না আর, সয়েই যায় আসলে। অতঃপর নীলগিরি এসে আবার বিশ্রাম ছবিটবি তুলে প্রস্তুতি জীবননগর ডাউনহিলের। তার আগেই ইয়া বিশাল বিশাল দুইটা পাহাড়। সবাই গল্প করে হেটেই উঠে গেছি। যারা ডাউনহিল ভালবাসেন তাদের জন্য খুব মানানসই হবে এই জীবননগর ডাউনহিল। পাক্কা ৮ কিলো রাস্তা সারাদিনে যতটুকু উঠেছি ওতটুকুই মনে হয় নামতে হবে। এক পাশে দাড়িয়ে দেখলে বোঝা যায় কতটা একিয়েবেঁকিয়ে সাপের মত পেঁচিয়ে ডানে-বামে অসংখ্য মোড় নিয়ে পুরটুকু রাস্তা একদম বলিপাড়া পর্যন্ত। পাহাড়ি রাস্তাইয় ক্লাইম্বিং যতটা চ্যালেঞ্জিং, ঠিক ডাউনহিলটাও অনেক রিস্কি আর আনন্দদায়ক। খুব বেশি ভাল ব্রেক হলে আপনি অনেক এডভান্টেজ পাবেন পুরো রাস্তায়। আর টারনিং গুলোতে বেগ পেতে হবে স্পীড কন্ট্রলিং-এ।

ব্রেক চেপে রেখেও ৩৫/৪০ তাহলে বুঝেন কিরকম ঝুঁকিপূর্ণ। আকাশের লালিমা দেখা যাচ্ছে এই বুঝি মাগরিবের আজান পরবে। আর এমন সময়ই এই রাস্তা টুকু পারি দিতে হবে। ব্যাপক মজা আমার মধ্যে, গতবছরও আমার ঠিক এমনই এক্সপেরিন্স ছিল। এক কথায় বলতে গেলে দারুণ এক অভিজ্ঞতা নিয়ে দ্বিতীয়বারের মত একি মজা আবার উপভোগ করার সুযোগ। আমাদের মধ্যে কয়েকজন বেশি রিস্ক না নিয়ে বিপদজনক ঢালুগুলো হেঁটে নামলেন। আর আমরা যারা চালিয়ে নামলাম এক কিলো পর পরই থেমে ব্রেকপ্যাডে পানি দিয়ে ডিস্ক ঠাণ্ডা করতে হয়েছে, নাহলে এক বার ব্রেকপ্যাড গলে গেলে মুশকিল বাড়বে। যদি কেউ এই রাস্তায় যান তাহলে ব্যাপারটা মাথায় রাখবেন। সারাদিনের ক্লান্তির অবসান ছিল এই ডাউনহিলটা। সমস্ত শরীর ঠাণ্ডা অনুভূত হল আর শেষ হল এসে বলিপাড়ায়। আর্মি চেক পোস্টে আমাদের থামিয়ে ভালোমন্দ জিজ্ঞেস করলেম এক কর্মকর্তা। রাস্তা বাকি ১৭/১৮ কিলো আর একটু বেশি রিস্কি চুরি ডাকাতির ভয় উপেক্ষা না করে উনি বললেন আমরা যেন না চালিয়ে যাই। উনি একটু হেল্প করে উঠিয়ে দিলেন সরকারি পিডিবির এক পিক-আপে ওরাও থানচি যাবে।

পরে সবাই উঠে পড়লাম আর হইহুল্লোর করে এসে গেলাম থানচি। আমি বলব, এডভেঞ্চারের শুরুটা থানচি থেকেই, যারা ট্রেকিং করেন তারা জানেন। রাতের থাকার বন্দবস্ত করে আহার সেরে শুয়ে পড়লাম আর কখন যে ভোর ৬ টা বেজে গেল নিমিষেই বুঝে উঠা গেল না। যাদের ঘুমের সমস্যা তারা ডেইলি এমন পাহাড় চড়তে পারেন, অনেক ক্লান্তি জমলে ঘুম ভাল হয় 😛 ২৩ তারিখের ভোর ছিল সেটা, সূর্য না দেখতে পেলেও থানচিকে দেখলাম সম্পূর্ণ কুয়াশায় ঘেরা অপরূপ সৌন্দর্যে। শীতের কাপানিটা দেখলাম সাঙ্গুতেও একদম থমথমে আর নির্বাক। এবারের যাত্রা হল দেশের সর্বোচ্চ থানচি-আলিকদম সড়ক পাড়ি দিব দুচাকার বাহনে। শুরুটা ধির গতির ছিল। বুঝে না উঠার আগেই আমাদের সবাই গতদিনের ক্লান্তি নিয়ে আজকের বর্বরতা সইতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল। অনেক অনেক উঁচু আসলে না দেখে বুঝবেন না। আর কুয়াশা ছিল অতিমাত্রায়, একদিকে ঠাণ্ডা লাগছিলো আবার ক্লাইম্বিং করে শরীরের গরমটা এক সাথে ভোগাচ্ছিল।

পরে বুঝলাম না আসলে এভাবে হবে না, আমরা পারছিলামই না। বুদ্ধি করে হাঁসি-তামাশার ছলে পাহাড়কে বুঝ দিয়ে কথা বলতে বলতে যাচ্ছি সবাই এক সাথে। কিছুক্ষণ চালাই, আবার থামি, আবার ছবি তুলি, আবার একটু হাঁটি এভাবেই চলছি ডিম পাহাড়ের দিকে। থানচি-আলিকদমের মাঝে ঠায় মাথা উচিয়ে দাঁড়িয়ে ডিম্বাকৃতির এই পাহাড়। একটু পর পর মনে হইচ্ছিল এই বুঝি আসছি, এই বুঝি আসছি। কিন্তু না আঁকাবাঁকা সরু পথ পাহাড়ের গা ঘেঁষে দুই চোখ ছাপিয়ে উপরের দিকে উঠেই যাচ্ছে। বেশ কিছু ভিডিও চিত্র ধারন করে রেখেছি সময় সুযোগ পেলে আরেকদিন সেগুলা আপলোড করে দিব। রাস্তার কাজ তখনোও শেষ হয়নি, একটু পর পর আর্মির গাড়ি আসছে যাচ্ছে আর বেশ কিছু লোক নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। অতঃপর আস্তে আস্তে দূর থেকে দেখা ডিম পাহাড়ের দৃশ্যটুকু পরিষ্কার দেখাচ্ছে, বুঝতে দেড়ি হল না আর বেশি দূরে নেই আমরা। দূর থেকেই রাস্তাটার উচ্চতা দেখতে পাচ্ছি আর বলতেই হচ্ছে একটা কথা, “After climbing a great hill, one only finds that there are many more hills to climb.” তারপর দূর থেকে দেখা ডিম পাহাড় আর দেশের সর্বোচ্চ সড়কে সবাই এক সাথে উঠে বসে পড়লাম।

ইচ্ছে করছিলো আর না নামতে, আকাশের নীলাভ আভা, তার নিচেই খেলছে মেঘের ঘনঘটা। খুব বেশি তাড়া না থাকলে দু-চারদিন এমনি থেকে যেতাম। উচ্চতা ছোঁয়া শেষ, এবার হবে নামার খেলা। ঠিক গতকালের মত বেশ বড় বড় ডাউনহিল। তবে বেশি ঢালু না গতকালেরটা মানে জীবননগরের টা আমার কাছে বেশি এক্সট্রিম মনে হয়েছে।তবে আমাদের হাসান ভাই ছোট্ট একটা এক্সিডেন্ট করে বাঁক থেকে নামার সময় মাথায় হেলমেট থাকায় রক্ষা। নেমেই এক পাড়ায় ডিম পাহাড় জয়ের ছেলিব্রেশন করলাম সেদ্ধ ডিম খেয়ে। এর পরে আর দুই একটা পাহাড় বেয়ে উঠা ছাড়া পুরোটায় নেমে গেছে নিচের দিকে। বিকেল হয়ে গেল আলিকদম পৌছাতে রাতে বাস ঢাকার খুব দ্রুত শেষ করে ফেলতে হবে বাকি পথটুকু।

বাধ সেধে বসলো তন্ময় ভাইয়ের রোড বাইক, আমি পিছে থেকে বলতে বলতেই উনার পিছনের ডেরা ভেঙে চেইন ছিড়ে গেলো। এর পরে কি আর করার চাঁদের গাড়ি নিয়ে চকরিয়া চলে এলাম। এইত দুই দিনের কিছু কথা বলে বিরক্ত করলাম 🙂 দুই দিন পরে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসে দেখলাম পেছনের চাকাটার ক্ষয় হয়েছে ভালই আর কমেছে কিছুটা ভয় 🙂 রাস্তাটা সী লেভেল থেকে ৮৬৭ মিটার (আমার জিপিএস মিটারের রিডিং অনুযায়ী) উঁচুতে ছিল। ধন্যবাদ নাইম ভাই, তম্নয় ভাই, হাসান বাহি, প্রভাত ভাই আর তানভীরকে সহযাত্রী হিসেবে সাথে থাকার জন্য। আর কৃতজ্ঞতা রাইডার্সপেন এর  নীরব মাহমুদ ভাই কে আমাকে কিছু লেখালেখির জন্য উদ্বুদ্ধ করার জন্য। দয়া করে ছোটখাট ভুলগুলো এড়িয়ে যাবেন অভ্র দিয়ে লিখলে যা হয় আর কি! সবাই ভাল থাকবেন। হ্যাপি সাইক্লিং 🙂


# লিখেছেনঃ OJhor Badol
# রাইডার্সপেন বাইকট্যুর রাইটিং প্রতিযোগিতা ২০১৬

Tags: বাইকট্যুর রাইটিং প্রতিযোগিতা ২০১৬
Previous Post

টর্চের আলোতে সর্পিল বান্দরবন-নীলিগিরি বাইকট্যুর

Next Post

জাহাজমারা আর কদ্দুর?” “ম্যাএ্যালা দূর”

রাইডার্সপেন সম্পাদক

রাইডার্সপেন সম্পাদক

প্রিয় এই দেশের মঙ্গল হবেই। সাইকেলপ্রিয় আমরা চাই, এই মঙ্গলযাত্রায় সাইকেল হোক আমাদের পরিবর্তনের বাহন। সাইকেল কাজে লাগুক সকলের কল্যানে। গড়ে উঠুক সাইকেল কমিউনিটিতে সুদৃঢ় বন্ধন। চলুক আমাদের প্রিয় সাইকেল..।

Next Post

জাহাজমারা আর কদ্দুর?” “ম্যাএ্যালা দূর”

Please login to join discussion

Recommended

ক্রসকান্ট্রির ডায়েরী ; শিবচর থেকে বরিশাল

3 বছর ago

ফ্লুরিয়ানের বাংলাদেশ ভ্রমণ

4 বছর ago

Trending

জার্নি টু দি মাওয়া ফেরি ঘাট ফর ইলিশ

5 বছর ago

সারাসেন টাফট্র্যাক্স ম্যানস রিভিউ

5 বছর ago

Popular

টেকনাফ থেকে কলকাতা – দুই চাকায় পাড়ি দিলেন ৮০২ কিলোমিটার

4 বছর ago

জার্নি টু দি মাওয়া ফেরি ঘাট ফর ইলিশ

5 বছর ago

সারাসেন টাফট্র্যাক্স ম্যানস রিভিউ

5 বছর ago

মৌডুবি থেকে আগুনমুখা নদীর তীর ধরে কাটাখালির পথে আমরা

5 বছর ago

সাইকেলে ২৪ ঘন্টায় ৫০০ কিলোমিটার!

5 বছর ago
  • স্যোশাল মিডিয়াতে ফলো করুন

© রাইডার্সপেন ২০১৭ – ২০২০
সম্পাদক ও প্রকাশক : হাফিজুল ইসলাম নীরব
১৩৪১/২ পূর্ব শেওড়াপাড়া (৫ম তলা) | রানওয়ে রোড, কাফরুল, ঢাকা – ১২০৮ । ফোন : +৮৮০১৫৩৩৩৫৪৮২৭ (টেকনিক্যাল) |
ইমেইল: editor@riderspen.com

© ২০২০ রাইডার্সপেন স্বত্ত্ব সংরক্ষিত- ওয়েবসাইট নির্মাণ কোডসপাজল

  • ডিসক্লেইমার
  • গোপনীয়তার নীতিমালা
  • বিজ্ঞাপন
  • যোগাযোগ
No Result
View All Result
  • প্রথমপাতা
  • গ্যারেজ
    • মেকানিক টুকিটাকি
    • সাইকেল শপ
    • সাইকেল রিভিউ
    • সাইকেল গুরু
  • লাউঞ্জ
    • পাঠকের গল্প
    • সাইকেল চিরকুট
    • সাইকেল কমিউনিটি
  • বাইকট্যুরিং
    • বাইকট্যুরিং বাংলাদেশ
    • বাইকট্যুরিং আন্তর্জাতিক
    • ট্যুর রুটপ্ল্যান
    • ক্রসকান্ট্রি বাংলাদেশ
    • ক্রসকান্ট্রি আন্তর্জাতিক
  • স্পোর্টস
    • সাইকেল রেস
    • ষ্ট্যান্ট
    • সাইক্লিং বিচিত্রা
  • প্রিয় সাইক্লিষ্ট
  • আমরা

Copyright © 2012 - 2017, JNews - Premium WordPress news & magazine Jegtheme.

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Create New Account!

Fill the forms bellow to register

All fields are required. Log In

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In

Add New Playlist